হাইকিং - চমকে ভরা পিকাচু পিক (৩)


ছবি ১: টুসি গিরিখাত ধরে নামছে

আমরা চাতালের মত জায়গাটা থেকে সামনে আগাতে দেখি, গভীর ঢালু একটা জায়গা। আমরা তো আস্তে আস্তে আগাতে থাকলাম। খুব সরু, ভয়াবহ রিস্কি একটা জায়গা। আমাদের অনেকে বসে বসে নামতে লাগল। (ছবি-১)। বড় বড় পাথরের চাঁই পাশ কাটিয়ে আমরা নামতে লাগলাম। এই ভীষন দুর্গম জায়গার ছবি তুলতে গিয়ে দু দুবার আমার ক্যামেরা বাড়ি খেয়েছে। ভাগ্যিস হাতের সাথে বাঁধা ছিল ক্যামেরাটা। নইলে সোজা পৌছাতে দুহাজার ফিট নীচে।


ছবি ২: ভয়াবহ গিরিপথটার স্কেচ

ছবি - ২ এ দেখানো A জায়গাটায় হচ্ছে চাতালের মত অংশটা। আমরা লাল রঙে দেখান পথ ধরে একটু নীচের দিকে এসে আবার উপরের দিকে উঠছিলাম। এর মধ্যে টুসী একটু প্যানিক ফিল করছিল। আমি তাকে সাহস দিতে দিতে আনছিলাম। এতে করে আমরা গ্রুপের থেকে একটু পিছিয়ে পড়ি। ছবি - ৩ দেখলেই বুঝবেন টুসী কত কষ্ট করে হাসছে।

ছবি - ২ এ দেখানো B পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে দেখি, ভয়াবহ খাড়া অংশ পার হতে হচ্ছে। আর একটু সামনে থেকে দেখি, আক্ষরিক অথের্ সম্পূর্ণ পাথরে গাঁথা স্টিলের দড়ি বেয়ে, ভাটির্ক্যালি উপরে উঠতে হবে। টুসির পায়ে, সঠিক ধরনের জুতো ছিল না, তদুপরি এ পযার্য়ে এসে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ও খুব ভেঙ্গে পড়ে। তাই অপেক্ষারত বন্ধুদের বললাম তোমরা যাও আমরা এখানে অপেক্ষা করছি।


ছবি ৩: টুসি কষ্ট করে হাসার চেষ্টারত

টুসী কে অনেক বোঝানোর পর ও একটু রাজি হল। কিছু দুর যাবার পর দেখি আমরা রাস্তা ভুল করে অন্যদিকে যাচ্ছি। আমাদের বন্ধুদেরও দেখা যাচ্ছেনা। সঙ্গে মোবাইলও আনিনি। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার চেহারা দেখে টুসীর উপর আতঙ্ক ভর করল। এবার সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ল সে। সে ফিরে যাবেই এখান থেকে। এবার আমি আর না করলাম না।

ফিরে যাবার সময় বাধল বিপত্তি। যে রাস্তা ধরে নেমে আসা সহজ ছিল সেটা বেয়ে ওঠা খুবই টাফ লাগছিল। আর আগে গ্রুপের সাথে ছিলাম। এবারে একা, প্রতি মূহুর্তে মনে হচ্ছিল পথ ভুল করছি কিনা। একবার পথ ভুল করে আরেকটু হলে স্লিপ করছিলাম আরকি। টুসী কোন রকমে টেনে তুলল।

কয়েকটি বাক তো ছিল সিম্পলি ভয়াবহ, নামার সময় বসে নামা গেছে, কিন্তু উঠতে গিয়ে হাঁচড়ে পাঁচড়ে জীবন বেরিয়ে যাবার দশা। টুসির জুতো স্লিপ করছিল। সেতো আতঙ্কে অস্থির হয়ে ফুপাতে লাগল। আমি পেছনে ছিলাম, তাকে কোন রকমে ঠেলতে ঠেলতে উঠতে লাগলাম। অবশেষে বিরাট যুদ্ধ শেষে আবার পৌছলাম A পয়েন্টে (ছবি - ২)।


ছবি ৪: আমরা অবশেষে ভয়াবহ অংশটা পাড়ি দিয়ে এসে


ছবি ৫: চাতালের মত জায়গাটায় একটা ফলক

মনে হচ্ছিল যেন যুদ্ধ জয় করেছি। আমরা দুজনে বেঁচে ফিরবার জন্য আল্লাহর কাছে অসীম দোয়া করলাম। (ছবি - ৪, ৫)।


ছবি ৬: নেমে আসার সময় একটা জায়গা

তারপর আমরা বাকি রাস্তা নেমে আসলাম (ছবি - ৬)। নেমে আসার সময় কতবার যে মনে হয়েছে রাস্তা ভুল করছি কিনা। কতবার মনে হয়েছে ঝুনঝুনির শব্দ শুনলাম নাতো? একবার তো টুসি আমাকে ডেকে থামাল, বলল শোনো কোথা থেকে জেন ঝুনঝুন শব্দ হচ্ছে। আমিও শুনে বললাম বাতাসে গাছ-পাথরে ঘষার শব্দ। তখনও কি জানি, এখানে র্যাটল স্নেকের অবাধ বিচরন?


ছবি ৭: তাঁবু তৈরীর সময়

যাই হোক শেষ অবধি নেমে আসলাম আমরা। আধা ঘন্টা ব্যবধানে আমাদের বন্ধুরাও নেমে আসল। সবাই হাত মুখ ধুয়ে আমাদের ক্যাম্পিং এর জায়গাটায় পৌছলাম। তাবু খাটাতে গিয়ে দেখি একটা তাবুর একটা অংশ মিসিং (ছবি - ৭)। সুতরাং একটা তাঁবু কিনতে হবে। সবাই মিলে তুসন শহরটাতে গেলাম। সেখান থেকে খাবার দাবার শেষে, ওয়ালমার্ট গেলাম তঁাবু কিনতে। কিন্তু কপাল খারাব হলে যা হয় আরকি, সস্তার মধ্যে তাঁবু পাওয়া গেলনা। তাই প্ল্যান হল আমরা রাত কিছুক্ষন কাটিয়ে ফিরে যাব টেম্পি।


ছবি ৮: আমরা আগুনকে ঘিরে

রাত বাড়তেই ঠান্ডার মধ্যে আমরা ক্যাম্প ফায়ার করে তার চারধারে দাঁড়িয়ে গল্প গুজব করতে লাগলাম (ছবি - ৮) । একটা মজার খেলা খেলছিলাম, কোন একটি মুভির নাম অভিনয় করে বোঝাতে হবে অন্যদের। যাইহোক রাত ২ টা নাগাদ সবাই ক্লান্ত এবং ফেরার পালা। অবশেষে ক্লান্তিকর ভ্রমন শেষে ভোর রাতে ফিরলাম বাসায়। সঙ্গে নিয়ে, প্রচন্ড শিহরন জাগানো হাইকিং এর একটা স্মৃতি।

এখন মাঝে মাঝে ভাবি কি হতো যদি আমাদের কেউ একজন ফস্কে পড়ে যেত? এত মায়া বির্সজন দিয়ে বাবা মা আমাদের পড়তে পাঠিয়েছে, তাদের কি হত? চিন্তা করতে চাইনা - কষ্ট বিনা কেষ্ট লাভ হয় কি মহীতে?

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৫-০৯)

হাইকিং - চমকে ভরা পিকাচু পিক (২)


ছবি ১: হান্টার ট্রেইলের শুরুতে সাইনবোর্ড

আমরা পিকাচু পিক পাকের্ পৌছে রেজিষ্ট্রেশন করে নিলাম। তার পর হল হাইকিং এর পালা। ততক্ষনে ১২ টা বেজে গ্যাছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল হান্টার ট্রেইল (ছবি - ১) নামের একটা ট্রেইল। আমাদের কারোরই কোন আইডিয়া ছিল না এব্যাপারে। যে ছেলেটার উদ্দেশ্যে এই ভ্রমন, সেই নীলেশই ঠিক করেছিল এই ট্রেইলটা - কারন এই ট্রেইলটা নাকি মোস্ট এডভেঞ্চারাস। কিছুটা বর্ণনা পাবেন এখানে


ছবি ২: "ঐ ওখানে উঠব আমরা! :o"

যাই হোক, পুরো ট্রেইলটা দুই মাইলের মতো, আর উচ্চতা হাজার দুয়েক ফিট। আমার কাছে যদিও উচ্চতা তিন হাজারের মত লেগেছে! উঠা শুরু করলাম আমরা। আমার বউ এতক্ষন পর বুঝতে পেরেছে আমার প্ল্যান কি! (ছবি - ২) তখনও কিন্তু সে ঘাবড়ে যায়নি। আপাত দৃষ্টিতে বেশ সরল সোজা পাহাড়ই মনে হচ্ছিল এটাকে।

তবে ক্রমশ কঠিন হচ্ছিল ট্রেইলটা। মাঝে মাঝে পাথরে গেঁথে রাখা স্টিলের দড়ি বেয়ে উঠতে হচ্ছিল। আর সেই সঙ্গে শুনতে হচ্ছিল বৌ এর গজগজানি। :)


ছবি ৩: "আমরা এতখানি উপরে এসেছি? :p"


ছবি ৪: আমরা, চাতালের মত জায়গাটার কাছে।

ঘন্টাদুয়েকের মত চলার পর একটা বিরাট রক ফমের্শনের মত জায়গায় পৌছলাম আমরা। (ছবি - ৩, ৪) আমরা ভাবলাম বুঝি বেশী বাকি নেই আর। যারা নেমে আসছিল তারা ভয় দেখাচ্ছিল, সামনের অংশটা নাকি বিপদজ্জনক। আমরা ভাবছিলাম আরে ছোহ কি আর হবে। তখন কে জানে কি অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে!

(চলবে...)

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৫-০৮)

Labels:

হাইকিং - চমকে ভরা পিকাচু পিক (১)


ছবি ১: আমি ও আমার বৌ ক্যাসে গ্রান্ডেতে

গত ডিসেম্বরে (২০০৫) আমাদের এক ইন্ডিয়ান বন্ধু মাস্টার্স শেষে চলে যাবে বলে ঠিক করলাম কোন এক জায়গায় ঘুরতে যাই। আমার ল্যাবে এবং ডিপার্টমেন্টে বাঙ্গালী বেশী নাই বলে, সমবয়সী ইন্ডিয়ান গুলোর সাথে আমার খাতির বেশী। সময়, এডভেঞ্চার ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে ঠিক করা হল টেম্পি থেকে ঘন্টা দুয়েক দুরে তুসন (Tucson) শহরের একপ্রান্তে অবস্থিত পিকাচু পাহাড়ে যাওয়া হবে। আমার বৌ ভয় পেতে পারে ভেবে আমি আর তাকে বলি নাই যে আমরা পাহাড় চড়ব। আমাদের প্ল্যান হলো, সারাদিন পাহাড় চড়ে, কাছেই অবস্থিত পাকের্ ক্যাম্পিং হবে। শীতকাল বলে রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে, সেজন্য নেয়া হবে প্রফেশন্যাল তাঁবু।


ছবি ২: আমি বাদে গ্রুপের সবাই, হাইকিং শুরুর আগে

যদিও ঠিক ছিল রওনা দেব সকাল ৮ টা নাগাদ, অমিত, চিত্রা এদের ঢিলেমীর কারনে দেরী হয়ে গেলো। বেরুতে বেরুতে ১০ টা বেজে গেলো। পথে ক্যাসে গ্রান্ডে নামের একটা শহরে থেমে কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম আমরা।

(চলবে...)

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৫-০৮)

ব্রংক্স চিড়িয়াখানা - নিউইর্য়ক



চিড়িয়াখানা যে কত সুন্দর করে সাজানো থাকতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। তবুও শীতকাল বলে পুরো মজাটা উপভোগ করতে পারিনি। কিছু ছবি দিলাম, শুধু যেসমস্ত প্রানী শীতকালে বাইরে থাকতে পারে, বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে আছে তাদের দেখা পেয়েছি।






(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৪-০৫)

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট - নিউইর্য়ক


আমি তো জানতাম না যে জগৎজোড়া নামকরা সব পেইন্টিং এখানে। আমাদের এক চাচা বললেন আমরা এটা দেখে আসতে পারি। দেরী করে ঘুম থেকে উঠে বিকেল তিনটায় পৌছলাম সেখানে। গিয়ে তো তাজ্জব হয়ে গেলাম। মোনালিসা, ভ্যান গগ, সেজান, সার্ত্রে সবার মাস্টাপিস সেখানে। কিন্তু ছবি তোলা একটু রেস্ট্রিকটেড - ফ্ল্যাশ ইউজ করা যাবেনা। এরমধ্যে গেল আবার ব্যাটারী শেষ হয়ে। দৌড়ে বাইরে থেকে কিনে আনলাম ব্যাটারী। এত্ত বড় মিউজিয়ামটা শেষই করতে পারলাম না। মোনালিসার অরিজিনালটাই বাদ পড়ে গেল। সুযোগ পেলে আবার যাব। ছবি বোদ্ধাদের জন্য সত্যিই এক আকর্ষনীয় জায়গা।

ভ্যান গগের ছবির সামনে আমি


একটি স্কাল্পচার

(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৪-০২)

মাদাম তুসোর জাদুঘর - নিউইয়র্ক


এবার শীতে নিউইর্য়কে গিয়েছিলাম। ভাবলাম মাদাম তুসোর জাদুঘরে যাই। গিয়ে তো টাসকি খেয়ে গেলাম। অনেক টাকা টিকেট কিন্তু পুরোটাই উসুল। আরো একটা মজার ব্যাপার পেলাম, 3D ছবি। একটা কাঁচের ব্লকে আমাদের 3D ভরে আমাদের কাছ থেকে ছিলে টাকা নিয়ে নিল। আর আমরাও ধেই ধেই করে বাড়ি ফিরে আসলাম।

রকের সাথে

বিল গেটসের মুর্তির সাথে

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৪-০২)

স্যান দিয়েগোর রিক্সা

স্যান দিয়েগোর রিক্সায় টুসী ও মানসী
এবারে ক্যামেরাবন্দী করেছি স্যান দিয়েগোর রিক্সাকে। সাদা লোকটাকে রিক্সাওয়ালা বেশে একদমই মানাচ্ছিল না। :)

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৪-০২)

স্যান দিয়েগো সমুদ্র দর্শন


পরের দিন আমরা গেলাম স্যান দিয়েগো সমুদ্র দেখতে। অসাধারন জায়গা। বহুবছর আগে দেখা কক্সবাজারের কথা মনে পড়ে গেল। তবে এখানে সেইফটি আর ভ্রমনের ব্যবস্থা এতো ভাল যে পুরো ব্যাপারটা খুব এনজয় করা যায়।

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৪-০২)

সিক্স ফ্ল্যাগস: লস অ্যানজেলস


গত স্প্রিং ব্রেক এ গিয়েছিলাম একটা অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সিক্স ফ্ল্যাগস এ। অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। ওখানে প্রায় ১০/১২ টার মত রোলার কোস্টার আছে। সবচেয়ে ভয়াবহটার নাম এক্সট্রিম। এটার চেয়ার গুলো প্রধান কোস্টারের সাপেক্ষে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারে। ২০০ ফিট উপরে তুলে চেয়ারটাকে ঘুরিয়ে মাটির দিকে তাক করে ফেলে দিল। ভাইরে ভাই মনে হলো পুরো মাটির ভিতর সেঁদিয়ে যাচ্ছি ...

এছাড়া আরো আছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোলার কোস্টার, বাঁদুড় ঝোলা রোলার কোস্টার, সাইক্লোন, ডেজাভু, সাপের মতো রোলার কোস্টার, এবং আরো অনেক। রোলার কোস্টার ছাড়া আরো আছে ৩ সেকেন্ডে গতি ১০০ মাইল বেগে চলে যায় এবং শেষে ৬ সেকেন্ড ওজনশূন্যতার অনুভুতি এরকম একটি রাইড, ফ্রিফল - অনেক উঁচু থেকে ফেলে দেয়, ডাইভ ডেভিল - কোমরে দড়ি বেঁধে ফেলে দেয় এবং আরো অনেক।

সেছিল এক অসাধারন মজার একটা অভিজ্ঞতা। সময় এবং সুযোগ পেলে যেতে ভুলবেন না যেন। আর সাহস করে চড়তেও ভুলবেন না। জীবন তো একটাই ....

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়ারইন ব্লগ ২০০৬-০৩-০৮)

স্প্রীং ব্রেক


আগামী সপ্তাহে স্প্রিং ব্রেক। পরীক্ষা, হোমওয়ার্ক আর রিসাচের্র কাজ মোটামুটি শেষ। ভাবছি স্যান দিয়েগো যাব। ওখান থেকে এল এ, সিক্স ফ্ল্যাগস এ...

সিক্স ফ্ল্যাগস হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে ভয়াবহ এমিউজমেন্ট (!) পার্ক গুলোর মধ্যে অন্যতম। ফ্রি ফল, রোলার কোস্টার গুলোর বর্ণনা শুনে তো আমার পেটের মধ্যে হাত পা সেঁধিয়ে যাচ্ছে। তাও একটা উত্তেজনা অনুভব করছি।

আবার কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া একসিডেন্টটা থেকে থেকে মনে পড়ছে। লং ড্রাইভে যেতে হবে ভাবলে গলা শুকিয়ে আসছে। যাই হোক আললাহ ভরসা। ভাইসব দোয়া রাইখেন যেন সুস্থভাবে ফিরতে পারি।

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়ারইন ব্লগ ২০০৬-০৩-০৮)

নিউইর্য়কের রিক্সা


নিউইর্য়কে ঘুরতে এসে অনেক কিছু দেখেই মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু অবাক হয়েছি এই রিক্সাগুলো দেখে। ম্যানহাটানের সঙ্কীর্ন রাস্তায় দাপটের সাথে চলছিল। আমি দেখে সাথে সাথে ক্যামেরা বন্দী করলাম। আমরা যে খানটায় থাকি, সেখানেও মাঝে মাঝে বাইসাইকেল-কাম-রিক্সা দেখা যায়। সে সময়গুলোতে হাতে ক্যামেরা থাকেনা বলে ছবি তুলে রাখা হয়নি। সুযোগ পেলে ছবি তুলে পোস্ট করব।

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়ারইন ব্লগ ২০০৬-০২-০৮)

আমার সর্ম্পকে

  • আমি
  • বর্তমানে আছি
আমার প্রোফাইল